If You face any problem while reading any article please see this in Desktop mode

famous indian personalities in history and their achievements in bengali

 

autobiographies of famous indian personalities,nicknames of famous indian personalities in bangla,nicknames of famous personalities in bengali,motivation in bengali,list of autobiographies of famous personalities,dynasties in indian history,autobiography of famous person in bengali,famous nicknames in history,wbcs main optional history book list in bengali,kings in indian history,new optional history book in bengali,rare photos of famous indian personalities
famous indian personalities in history and their achievements in bengali 



আজকের বিষয় "ভারতের ইতিহাসে (famous indian personalities in history and their achievements in bengali )বিখ্যাত ব্যাক্তি ও তাদের অবদান "যার জন্য আমাদের ভারতের স্বাধীন হয়েছে ,যদি আরো কোনো বিষয় এর ওপর তোমাদের মতামত থাকে তো অবশই কমেন্ট বাক্স এ লিখে জানাবেন 

 রামমোহন রায় 

top 10 indian personalities current famous indian personalities famous indian personalities most famous indian person in the world famous indian female personalities famous telugu personalities inspiring indian personalities famous personalities of indian history famous nri personalities famous female personalities in indian history famous punjabi people most famous indian person great indian personality world famous indian personalities most popular indian person in the world important indian personalities eminent indian personalities famous female indian personalities famous indian historical personalities indian famous people's list famous people in indian history famous indian female personalities ppt inspirational indian personalities five famous indian personalities indian famous women personalities 5 famous indian personalities most popular indian person most famous indian personalities
famous indian personalities and their achievements in bengali 


• ' রাজা ' রামমোহন রায় ( ১৭৭২-১৮৩৩ খ্রিঃ ) ছিলেন ভারতীয় নবজাগরণের অগ্রদূত ।
 ● তাঁকে ‘ ভারতের প্রথম আধুনিক মানুষ ' ( the first modern man of India ) ' আধুনিক ভারতের জনক ' ( ' Father of modern India ' ) প্রভৃতি নানা অভিধায় ভূষিত করা হয়েছে । . রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁকে ' ভারত পথিক ' বলে সম্মান জানিয়েছেন । . পন্ডিত জওহরলাল নেহরু - র মতে , তিনি হলেন ' ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক ' অনেক তাঁকে ' আধুনিক ভারতের ইরাসমাস ' বলে অভিহিত করেছেন । 
• ১৮০৯ খ্রিস্টাব্দে বহু দেববাদের বিরুদ্ধে এবং একেশ্বরবাদের সমর্থনে ফারসি ভাষায় তিনি একটি পুস্তিকা রচনা করেন । তার নাম ' একেশ্বরবাদীদের প্রতি ' ।
 • কেবলমাত্র এই নয় - বেদ ও উপনিষদের বাংলা অনুবাদ করে তিনি তাঁর মতবাদ প্রচারে ব্রতীহন । 
● তার ধর্মমত সম্পর্কে আলোচনার জন্য ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় ‘ আত্মীয় সভা ' স্থাপন করেন ।
 • তিনি বাংলা , হিন্দু , ফারসি ও ইংরেজি সংবাদপত্র প্রকাশ করেন ।
 • ১৮২১ খ্রিষ্টাব্দে ইংরেজি - বাংলা দ্বিভাষিকব্রহ্মনিক্যাল ম্যাগাজিন ব্রাহ্মণ সেবধি , বাংলা ভাষায় সম্বাদ কৌমুদি , এবং ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দে ফার্সিভাষায় প্রকাশিত মীরাৎ - উল - আখার নামক তিনটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন । 
• ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করতে উদ্যোগী হলে তিনি আন্দোলন গড়ে তোলেন ।
 • ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে মোঘল বাদশা দ্বিতীয় আকবর তাঁকে রাজা উপাধিতে ভূষিত করেন ।
 • তিনি ১৮৩৩ সালে মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলে প্রয়াত হন ।



দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত (‘ বিক্রমাদিত্য ’)

autobiographies of famous indian personalities,nicknames of famous indian personalities in bangla,nicknames of famous personalities in bengali,motivation in bengali,list of autobiographies of famous personalities,dynasties in indian history,autobiography of famous person in bengali,famous nicknames in history,wbcs main optional history book list in bengali,kings in indian history,new optional history book in bengali,rare photos of famous indian personalities
famous indian personalities and their achievements in bengali 


 • সমুদ্রগুপ্তের পুত্র দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত পিতার সুযোগ্য পুত্র ছিলেন । তিনি ' বিক্রমাদিত্য ' উপাধি নিয়ে সিংহাসনে বসেন ।
 . ● পশ্চিম উপকূলের গুজরাট বন্দর থেকে রোম সাম্রাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যের পথ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে তিনি শক - যুদ্ধে অবতীর্ণ হন । 
• শক রাজা তৃতীয় রুদ্রসেনকে পরাজিত করে দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ' শকারি ' বা ' শকদের শত্রু ' উপাধি ধারণ করেন । তিনি পরম ভাগবত উপাধিও গ্রহণ করেন । ..
 • এই অঞ্চলে উজ্জয়িনী নাগরীতে তিনি দ্বিতীয় রাজধানী স্থাপন করেন  আরেকটি রাজধানী ছিল পাটলিপুত্র ।
 ● ● দিল্লির কুতুবমিনারের কাছে মেহরৌলি গ্রামে বিখ্যাত লৌহস্তম্ভটি ধরা হয় দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বানিয়েছিলেন । তাঁর সেনাপতি আম্রকর্দব বৌদ্ধ ছিলেন এবং মন্ত্রী বীরসেন ছিলেন শৈব । তার রাজসভায় ' নবরত্ন ' বা ন'জন পন্ডিত ( এই নবরত্ন হলেন - কালিদাস , ধন্বন্তরি , ক্ষপণক , শঙ্কু , বেতালভট্ট , ঘটকর্পর , অমরসিংহ , বরাহমিহির ও বররুচি ) ছিলেন । দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মন্ত্রী বীরসেন - ও একজন বিখ্যাত কবি ছিলেন । 
• তিনি ' বিক্রম সম্বৎ ' বলে একটি সম্বৎ বা অব্দ প্রবর্তন করেন । দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের ' বিক্রম সম্বৎ ' ৫৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রবর্তিত হয় । . দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের রাজত্বকালে বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক ফা - হিয়েন বা ফাজিয়ান ( Faxian ) ভারতে আসেন । প্রায় দশ বৎসর ( ৪০০-৪১১ খ্রিঃ , মতান্তের ৪০৫-৪১১ খ্রিঃ ) ভারতে অবস্থানের পর বাংলায় তাম্রলিপ্ত নন্দর থেকে সমুদ্রপথে তিনি ভারত - ত্যাগ করেন । 
● ফা - হিয়েন রচিত ' ফো - কুয়ো - কিং ’ নামক ভ্ৰমণ - কথা থেক ভারত সম্পর্কে নানা মনোজ্ঞ বিবরণ পাওয়া যায় ।
 ● দ্বিতীয় চন্দ্ৰ প্তের আমলে উপকুলে তাম্রলিপ্ত ওপশ্চিম উপকূলে সোপারা উল্লেখযোগ্য বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল ।
  ●সমুদ্রগুপ্ত সমুদ্রগুপ্তর সভাকবি হরিষেণ রচিত ' এলাহাবাদ প্রশস্তি থেকে তার সামরিক প্রতিভা ও রাজত্বকালে পূর্ণাঙ্গ বিবরণ পাওয়া যায় । " শক্তিমান মাত্রই যুদ্ধ করবে ও শত্রু নিপাত করবে ' -চাণক্যর এই আদর্শ সমুদ্রগুপ্ত অনুসরণ করেছিলেন । সমুদ্রগুপ্ত নিজেকে ' একরাট ' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছিলেন । তিনি দাক্ষিণাত্যের রাজন্যর্গের কাছ থেকে কর গ্রহণ ও আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করে তাদের নিজ নিজ রাজ্য ফিরিয়ে দেন । হরিষেণ সমুদ্রগুপ্তের এই নীতিকে ‘ গ্রহণ পরিমোক্ষ ' বলে বর্ণনা করেছেন । সিংহল - রাজ মেঘবর্ণ তার অনুমতিক্রমে বোধগয়ায় একটি বৌদ্ধমঠ স্থাপন করেন । দিগ্বিজয়ের শেষে সমুদ্রগুপ্ত অশ্বমেধ যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন এবং সার্বভৌম শক্তির অধিকারী হিসেবে তিনি ' অশবমেধ - পরাক্রম ' , ' পরক্রমাঙ্ক ' , ' সর্বরাজোচ্ছেত্তা ' , ' অপ্রতিরথ ' প্রভৃতি উপাধি ধারণা করেন । ঐতিহাসিক স্মিথ তাঁকে ' ভারতীয় নেপোলিয়ন ' বলে আখ্যায়িত করেছেন । কেবলমাত্র যোদ্ধা বা সুশাসক হিসেবেই নয় - কবি , সঙ্গীতজ্ঞ , শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত ও শিক্ষা সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও তিনি স্মরণীয় হয়ে আছেন । তার ' কবিরাজ ' শ্রেষ্ঠ কবি উপাধি থেকে কবিরূপে তাঁর অবিস্মরণীয় খ্যাতির পরিচয় পাওয়া যায় । তাঁর মুদ্রায় অঙ্কিত নিজের বীণাবাদনরত মূর্তি থেকে তাঁর সংগীতানুরাগের কথা জানা যায় । বিখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত হরিষেণ তাঁর সভাকবি ছিলেন । তিনি বৌদ্ধ পন্ডিত বসুবন্ধু - কে মন্ত্রী পদে নিযুক্ত করেছিলেন । গুপ্ত যুগে বৌদ্ধিক ও জাগতিক সমৃদ্ধির যে চরম বিকাশ পরিলক্ষিত হয় তার সূচনা হয়েছিল সমুদ্রগুপ্তের রাজত্বকালেই ।  ঐতিহাসিক গোখলে তাঁকে ' প্রাচীন ভারতীয় সুবর্ণ যুগের অগ্রদূত ' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । 


 নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু 

autobiographies of famous indian personalities,nicknames of famous indian personalities in bangla,nicknames of famous personalities in bengali,motivation in bengali,list of autobiographies of famous personalities,dynasties in indian history,autobiography of famous person in bengali,famous nicknames in history,wbcs main optional history book list in bengali,kings in indian history,new optional history book in bengali,rare photos of famous indian personalities
famous indian personalities and their achievements in bengali 


• ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের ৫ ডিসেম্বর থেকে অসুস্থতার কারণে তাঁকে নিজ বাসভবনে অন্তরীণ রাখা হয় । 
• ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি জিয়াউদ্দিনেরছদ্মদেশে তিনি কলকাতা ত্যাগ করেন এবং পুলিশকে এড়িয়ে বিদেশে পৌঁছান ।
 • ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে জার্মান যুদ্ধবন্দি এবং ভারতীয় সেনাদের নিয়ে স্বাধীন ভারতীয় লিজিয়ন ' নামক একটি সেনাদল গঠন করেন । • এই সেনাদল তাঁকে নেতাজি ' অভিধায় ভূষিত করে । এই দলের সেনাদের একে অপরকে অভিবাদন জানানোর জন্য স্লোগান ছিল ' জয়হিন্দ ' । . ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে . ১৫ জুন রাসবিহারী বসুর সভাপতিত্বে ' ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগ ' গঠিত হয় ।
 • এই সভাতে সুভাষচন্দ্র বসুকে জার্মানি থেকে জাপানে আসার আহ্বান জানানো হয় ।
 • ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে ১ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে রাসবিহারীবসু আনুষ্ঠানিকভাবে আজাদহিন্দ বাহিনী গঠন করেন । এই বাহিনীর প্রধান ছিলেন মোহন সিং । • ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ১৩ জুন সুভাষচন্দ্র বসু টোকিও পৌঁছায় এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী তোজো তাঁকে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সাহায্যের আশ্বাস দেন ।
 • ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ৪ জুলাই সিঙ্গাপুরে রাসবিহারী বসু নেতাজির হাতে ' ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেস লিগ ' এর দায়িত্বভাব তুলে দেন । 
• নেতাজি ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে , ২৫ আগষ্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ' আজাদ হিন্দ বাহিনী ' - র নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং আজাদ হিন্দ ফৌজকে গান্ধি ব্রিগেড , নেহরু ব্রিগেড , আজাদ ব্রিগেড , ঝাঁসির রানি ব্রিগেড ( নেতৃত্ব লক্ষ্মী স্বামীনাথন ) সুভাষ ব্রিগেড ও বাল সেনাদল নামক বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত করেন । 
• ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দে ২১ অক্টোবর নেতাজি ' আজাদ হিন্দ সরকার ' ( সিঙ্গাপুরে প্রতিষ্ঠা করেন ।
 • ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ নভেম্বর জাপান সরকার নেতাজির হাতে আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জের দায়িত্বভার তুলে দেয় । ৩১ ডিসেম্বর নেতাজি আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপপুঞ্জেরনাম রাখেন যথাক্রমে ' শহিদ ' ও স্বরাজ ' দ্বীপ । তাঁর আন্দোলনেরমূল স্লোগান ছিল ' দিল্লি চলো ' ও ' তোমার আমায় রক্ত দাও , আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব ।
 • ১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৬ এপ্রিল আজাদ হিন্দ বাহিনী কোহিমা দখল করে এবং ভারতীয় সীমানার ১৫০ কিমি পর্যন্ত অগ্রসর হয় । কিন্তু প্রাকৃতিক বিপর্যয় , প্রতিকূল পরিবেশ , জাপানের আত্মসমর্পণ প্রভৃতি সুভাষচন্দ্ৰ বসুর আজাদ হিন্দ বাহিনীর পরাজয় সুনিশ্চিত করে । খাদ্য , সরঞ্জামের অভাব এবং জাপানি সাহায্য বন্ধ হওয়ার দরুন দিশেহারা আজাদ হিন্দ ফৌজ অবশেষে পরাজয় স্বীকার করতে বাধ্য হয় ।
 • অনেকের মত অনুযায়ী , ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১৮ আগষ্ট তাইহোকু বিমান দুর্ঘটনায় সুভাষচন্দ্রবসুর মৃত্যু হয় ।


অরবিন্দ ঘোষ

famous indian personalities and their achievements in bengali 


 • কংগ্রেসের চরমপন্থী গ্রুপের নেতৃত্বে থাকাকালে বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে ( ১৯০৫-১৯১১ ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । তিনি ১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দে ' ভবানী মন্দির ' নামে একটি পুস্তিকা রচনা করেন । 
. • তার লিখিত বাকি গ্রন্থ গুলি হল সাবিত্রী The Life Divine , The Synthesis of Yoga , Essays on the Gita
 • ১৯০৮ সালে বন্দেমাতরম পত্রিকায় রাজদ্রোহমূলক রচনা এবং আলিপুর বোমা মামলায় জড়িত থাকার জন্যে অভিযুক্ত হন । দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনদাশের প্রচেষ্টায় মুক্তিলাভকরেন এবং সশস্ত্র বিপ্লববাদী পথ পরিহার করে ফরাসী মহিলা মাদাম পল রিশার ( শ্রীমা ) সাথে পণ্ডিচেরীতেআশ্রম গড়ে তোলেন ( ১৯১০ খ্রিস্টাব্দ ) । ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দের ৫ ই ডিসেম্বরে এই আশ্রমে তিনি দেহত্যাগ করেন । 
• ১৬ ই অক্টোবর বা ৩০ শে আশ্বিন বঙ্গভঙ্গ কার্যকারী হয় । সেদিন সারা দেশে হরতাল পালিত হয় । জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ সেদিন দেশবাসীকে ' রাখি বন্ধন ' - এর পরিকল্পনা দেন । রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী - র প্রস্তাবক্রমে সেদিন সারা দেশে ' অরন্ধন পালিত হয় এবং বাংলার মা - বোনেরা সেদিন ' বঙ্গলক্ষীর ব্রত ' গ্রহণ করেন ।
 • ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে ১৩ ই জুলাই কৃষ্ণকুমার মিত্র সম্পাদিত ' সঞ্জীবনী ' পত্রিকায় সর্বপ্রথম সরকারের বিরুদ্ধে এক সামগ্রিক বয়কটের কথা ঘোষণা করা হয় ।
 • বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় সরকারি ছাত্রদলন নীতি এবং কার্লাইল সার্কুলার ( ১০ ই অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রিঃ ) , পেডলার সার্কুলার ( ২১ শে অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রিঃ ) , লিয়ন সার্কুলার ( ১৬ ই অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রিঃ ) জাতীয় শিক্ষা আন্দোলনে ইন্ধন জোগায় । ছাত্ররাই ছিল স্বদেশি আন্দোলনের মূল শক্তি ।
 • শচীন্দ্র প্রসাদ বসু নেতৃত্বে কলকাতায় ' অ্যান্ট - সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় । আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় - এর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ' বেঙ্গল কেমিক্যাল ' ।
 • ডঃ নীলরতন সরকার জাতীয় সাবান কারখানা প্রতিষ্ঠিত করেন ।
 • কলকাতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ' ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ নামে দেশীয় হাসপাতাল ।
 . • ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে জামসেদজি টাটা জামসেদপুরে লৌহ ও ইস্পাত কারখানা প্রতিষ্ঠিত করেন ।
 • সরলাদেবী চৌধুরানি ' লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার ' প্রতিষ্ঠিত করেন । এই কাজে সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত ' ডন সোসাইটি ' এবং ' অ্যান্টি - সার্কুলার সোসাইটি ' - র ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ ।
 • বিপ্লবী আদর্শ প্রচারের জন্য অরবিন্দ ঘোষের পরামর্শ ও ভগিনী নিবেদিতার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বারীন্দ্র ( অরবিন্দ ঘোষের ভাই ) ও ভূপেন্দ্রনাথের ( বিবেকানন্দর ভাই ) উৎসাহে ১৯০৬ খ্রিস্টাব্দে ' যুগান্তর ' পত্রিকা প্রকাশিত হয় ।
 • এ সময় অরবিন্দ ঘোষ সম্পাদিত ' বন্দে মাতরম ' এবং ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় সম্পাদিত ' সন্ধ্যা ' পত্রিকা ও বিপ্লবী ভাবধারা প্রচার করত । • বোমা তৈরি শিক্ষার জন্য মেদিনীপুরের হেমচন্দ্র দাস পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে প্যারিস যাত্রা করেন ।



 বাল গঙ্গাধর তিলক 。

famous indian personalities and their achievements in bengali 



 *জাতীয়তাবাদ প্রসারের জন্য মহারাষ্ট্রে ১৮৯৪ খ্রিষ্টাব্দে বাল গঙ্গাধর তিলক গণপতি উৎসব ও ১৮৯৫ খ্রিষ্টাব্দে শিবাজী উৎসব পালন শুরু করেন । 0 তিনি কেশরি নামক মারাঠি ভাষায় ও মারাঠা নামে ইংরেজি ভাষায় দুটি পত্রিকা প্রকাশ করেছিলেন । 
• লোকমান্য তাঁর উপাধি ছিল । 
● ব্রিটিশরা তাঁকে ভারতীয় অস্থিরতার জনক ( Father of Indian Unrest ) বলতেন ।
 • তাঁর বিখ্যাত বাণী ছিল ' স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার এবং তা আমার চাই ' ( " Swarajya is my birthright and I shall have it ! " . ) • চাপেকার ভাতৃদ্বয় ( Chapekar brothers / Natu brothers ) : দামোদর চাপেকার ও বালকৃষ্ণ চাপেকার ১৮৯৭ খ্রিস্টাব্দে পুনের প্লেগ কমিশনার রান্ড কে হত্যা করেন ।বিচারে তাঁদের ফাসি হয় ।
 • নাসিকে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে গণেশ দামোদর সাভারকর ও বিনায়ক দামোদর সাভারকর মিত্র মেলা ও ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে বিনায়ক দামোদর সাভারকর অভিনব ভারত বিপ্লবী সংগঠন দুটি গড়ে তোলেন ।



 



চন্দ্ৰগুপ্ত মৌর্য

famous indian personalities and their achievements in bengali 


 *কৌটিল্য বা চাণক্য নামক জনৈক কূটনীতিজ্ঞ ব্রাহ্মণের সহায়তায় চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ধননন্দকে পরাজিত করে মগধের সিংহাসনে বসেন এবং মৌর্যবংশ প্রতিষ্ঠা করেন ( ৩২৪ খ্রিঃ পূঃ ) ।
 কৌটিল্যবা চাণক্যর আসল নাম ছিল বিষ্ণুগুপ্ত ।
 তিনি অর্থশাস্ত্রনামক বিখ্যাত গ্রন্থটিরচনা করেন 
। পুরাণ মতে , মৌর্য সাম্রাজের প্রতিষ্ঠাতা চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য - র মাতা অথবা মাতামহী মুরা ছিলেন নন্দ বংশীয় এক রাজার শূদ্রপত্নী । 
মুরার নাম থেকে এই বংশ মৌর্যবংশ নামে পরিচিত ।
 সিংহাসনে বসেই চন্দ্রগুপ্ত উত্তর - পশ্চিম ভারতে গ্রিক শাসকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ।
 খ্রীষ্টপূর্ব ৩১৭ অব্দে গ্রিক সেনাপতি ইউথিডিমস পলায়ন করলে ভারতের উত্তর পশ্চিম সীমান্তে গ্রীক শাসনের অবসান ঘটে ।
 চন্দ্রগুপ্তগ্রিকদের কাছে সান্ড্রোকোট্রাসনামে পরিচিত ছিল ।
 পরবর্তীকালে আলেকজান্ডারের সেনাপতি ও ব্যাবিলনের রাজা সেলুকাস উত্তর - পশ্চিম ভারত পুনরুদ্ধার করার জন্য ভারত আক্রমণ করলে চন্দগুপ্ত মৌর্যের সঙ্গে তাঁর যুদ্ধ হয় ( ৩০০ খ্রিঃ পূঃ ) ।
 সেলুকাস এই যুদ্ধে পরাজিত হয়ে শেষ পর্যন্ত এক সন্ধি স্বাক্ষর করেন । 
কথিত আছে যে , তাঁর কন্যা হেলেন - এর সঙ্গে চন্দ্রগুপ্তের বিবাহ দেন ।
 সেলুকাসচন্দ্রগুপ্তের রাজসভায়মেগাস্থিনিস নামে এক গ্রিক দূতকে পাঠান ।
 মেগাস্থিনিসের ' ইন্ডিকা ' নামক গ্রন্থভারত বিবরণ ইতিহাসেরএক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান । 
চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য গুজরাটের জুনাগড়েসুদর্শন লেকটি নির্মাণকরেন ।
 চন্দ্রগুপ্তেররাজপ্রাসাদ ছিল কাঠের তৈরি যার কারুকার্যজগৎখ্যাতছিল ।
 ঐতিহাসিক ডঃ হেমচন্দ্র রায়চৌধুরী তাঁকে ' ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক বৃহৎ সাম্রাজ্যের স্থাপয়িতা ' বলে অভিহিত করেছেন । 
ভদ্রবাহুর কাছে চন্দ্রগুপ্ত জৈন ধর্মে দীক্ষিত হোন এবং জৈনপ্রথা অনুসারে মহীশুরের শ্রবণবেলগোলানামক স্থানে অনশনে দেহত্যাগ করেন ( খ্রিঃ পূঃ ৩০০ অব্দ ) । কৌটিল্যের ' অর্থশাস্ত্র ' , গ্রিক দূত মেগাস্থিনিসের বিবরণ ( ' ইন্ডিয়া ' গ্রন্থে ) , বিশাখদত্তের ' মুদ্রারাক্ষস ' নাটক ও বৌদ্ধগ্রন্থ ' দিব্যবদান ' গ্রন্থ এবং জাস্টিন , এ্যারিয়ান , স্ট্রাবো ও প্লিনি - র রচনা থেকে চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের শাসনব্যবস্থা সম্পর্কে জানা যায় । 


 অশোক

famous indian personalities and their achievements in bengali 


 বিন্দুসারের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র অশোক মগধের সিংহাসনে বসেন ।
 • বৌদ্ধগ্রন্থ ' দিব্যবদান ' ও সিংহলী গ্রন্থ ' মহাবংশ ' - তে লিখিত আছে যে তিনি তাঁর নিরানব্বই জন ভ্রাতাকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন । এই কারণে তাঁকে ' চন্ডাশোক ' বলা হত । 
• তাঁরশিলালিপিতে অশোক নিজেকেদেবানামপ্রিয় ( দেওবতাদেরপ্রিয় ) এবং প্রিয়দর্শীনামে উল্লেখ করেছেন ।
 • এই গৃহযুদ্ধের কারণেই তাঁর সিংহাসন লাভের চারবছর পর তাঁর রাজ্যাভিষেকহয়েছিল ( ২৬৯ খ্রিঃ পূঃ ) ।
 • তাররাজ্যাভিষেকের নবম বর্ষ ( মতান্তরেঅষ্টম ) ২৬০ খ্রিস্টপূর্বাদ্ধে ( মতান্তরে ২৬১ খ্রিঃ পূঃ ) কলিঙ্গরাজ্য জয় করেন । কলিঙ্গ যুদ্ধের ভয়াবহ ফলা ফল দেখে অশোকের ব্যক্তিজীবন এবং মগধের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন দেখা যায় । বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করে তিনি চিরদিনের মতো যুদ্ধ নীতি ত্যাগ করেন । কলিঙ্গযুদ্ধের বর্ণনা অশোকের ১৩ তম শিলালিপিতে পাওয়া যায় । অশোকপ্রথম জীবনে শিবের উপাসক ছিলেন । উপগুপ্ত নামক এক বৌদ্ধ সন্ন্যাসীরকাছে তিনি বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিতহন । অশোকের ধর্মমত বৌদ্ধ ধর্মের চেয়েও বেশি উদার ছিল । অশোকের এই ধর্মমতকে ' ধম্ম ' নামে অভিহিত করা হয় । অশোকের ১৪ তম শিলালিপিতে এই ধম্মেরকথা উল্লেখ আছে ।
 • অশোকের প্রধান ১৪ টি শিলালিপি পাওয়া যায় ৮ টি বিভিন্ন স্থানে । যার মধ্যে বেশির ভাগই প্রাকৃত ভাষায় এবং ব্রাহ্মী হরফে লেখা ছিল । ১৮৩৭ সালে জেমস প্রিনশেপসর্বপ্রথম অশোকের শিলালিপিগুলি পাঠোদ্ধার করেন । তিনি ' ধর্মমহামাত্র ' নামে এক বিশেষ শ্রেণির কর্মচারী নিযুক্ত করেন । তাঁদের কাজ ছিল ভগবান বুদ্ধের বাণী প্রচার । পাটলিপুত্রে তিনি তৃতীয় বৌদ্ধ সম্মেলন আহ্বান করেন । 
• তারপুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাসিংহলে ( শ্রীলঙ্কা ) বৌদ্ধধর্মপ্রচার করেছিলেন । তিনি ঘোষণা করেন যে , " সব মুণিষে পজা মমা " – সব মানুষেই আমার সন্তান । অশোক বহু অতিথিশালা এবং মানুষ ও পশুর জন্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন । উত্তরপ্রদেশেরসারনাথে প্রাপ্ত সিংহ স্তম্ভ ( যা অশোকস্তম্ভ নামে পরিচিতএবং ভারতবর্ষের জাতীয় প্রতিক ) অশোক নির্মাণ করেন । এই স্তম্ভশীর্ষে চারটি এশিয় সিংহ পরস্পরের দিকে পিঠ করে চারদিকে মুখ করে বসে রয়েছে । এই চারটি সিংহ যে ভিত্তিভূমির ওপর দন্ডায়মান সেখানে একটি হাতি , একটি ঘোড়া , একটি ষাঁড় ও একটি সিংহের মূর্তি খোদিত রয়েছে , যাদের মধ্যে একটি করে ধর্মচক্র খোদিত রয়েছে ।
 • অশোকের আমলে নির্মিত স্তুপগুলির মধ্যে সাঁচীরস্তুপ সর্ব বৃহৎ ছিল । বরাবরপাহাড়ে অশোক নির্মিতচৈত্য বা গুহামন্দিরখুবই বিখ্যাত । বরাবর পাহাড়ের গুহা স্থাপত্যের মধ্যে লোমশঋষির গুহা স্থাপত্যও নাগাজুনি গুহা স্থাপত্য অন্যতম । তাঁর ধর্ম প্রচারের ফলে পালি ভাষা সর্বভারতীয় ভাষার পরিণতি হয় এবং এই ভাষার গ্রন্থাদি রচিত হতে থাকে । তার আমলে ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠী লিপি ভারতের সর্বত্র প্রচলিত হয় । অশোকের মৃত্যু ( ২৩২ খ্রিঃ পূঃ ) -র পরেই বিশাল মৌর্য সাম্রাজ্য ভেঙে পড়ে । 
• এইবংশের শেষ সম্রাটবৃহদ্রথ কে হত্যা করে সৈনাধ্যক্ষপুষ্যমিত্র শুঙ্গ সিংহাসনেবসেন এবং মগধে শুঙ্গ বংশ প্রতিষ্ঠিত হয় ।


 ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ( ১৮২০-১৮৯১ খ্রিঃ ) 

famous indian personalities and their achievements in bengali 


• ১৮২০ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলায় বীরসিংহ গ্রামে এক অতি দরিদ্র ব্রাহ্মণ পরিবারে তাঁর জন্ম । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর - এর মতে , এক ভীরুর দেশে তিনিই একমাত্র ' পুরুষসিংহ ' ।
 • তিনি নিজ উদ্যোগে বাংলার বিভিন্ন স্থানে ৩৫ টি বালিকা বিদ্যালয় ও ২০ টি আদর্শ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করেন । তিনি জনশিক্ষার জন্য ' বর্ণপরিচয় ' , ' কথামালা ’ ,
 ● ‘ বোধোদয় ' প্রভৃতি গ্রন্থ রচনা করেন ।
 ● তিনি বিদ্যাসাগর উপাধি লাভ করে সংস্কৃত কলেজ থেকে । বিদ্যাসাগর নিজ ব্যায় কলকাতায় ‘ মেট্রোপলিটান ইন্সটিটিউশন ' ( বর্তমান বিদ্যাসাগর কলেজ ) নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত করেন । বাংলায় উচ্চশিক্ষা বিস্তারে ভারতের এই প্রথম বেসরকারি কলেজটির ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । 
• ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে বিধাবা বিবাহ আইনসিদ্ধ হয় ।


 

Post a Comment

0 Comments

>