(
Election Commission of india)
আজকের বিষয়ভারতে নির্বাচন কমিশন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর যেখান থেকে অনেক প্রশ্ন আসে তাই মন দিয়ে পুরো টা পর অনেক জিনিস পরিষ্কার হবে
1. ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি ( Basic ) features ) উল্লেখ কর ।
উত্তর । ভারতের নির্বাচন ব্যবস্থার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল— ( ১ ) ভারতে প্রত্যেকের জন্য সমান ভোটাধিকারের নীতি স্বীকার করা হয়েছে । এখানে সকলে মাথাপিছু একটি ভোট দেওয়ার অধিকার ভোগ করেন । ( ২ ) ভারতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সমসংখ্যক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন । ( ৩ ) ভারতে রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিনির্বিশেষে নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার অধিকার দেওয়া হয়েছে ।
2. ভারতে নির্বাচন কমিশন ( Election Commission ) কিভাবে গঠিত হয় ?
উত্তর । নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে অথবা মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কয়েকজন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হয় । [ ৩২৪ ( ২ ) ধারা ] । অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারের সংখ্যা সম্পর্কে সংবিধানে কিছু বলা হয়নি । অন্যান্য কমিশনারের প্রয়োজনীয়তা ও সংখ্যা রাষ্ট্রপতি নির্ধারণ করেন ।
3. গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচনের তাৎপর্য ( Significance ) কি ?
উত্তর । জনগণ যোগ্য , বিজ্ঞ , দক্ষ প্রার্থী নির্বাচন করতে পারলে তবেই সুষ্ঠুভাবে প্রয়োজনীয় আইন প্রণীত হবে এবং সাফল্যের সঙ্গে শাসনকার্য সম্পাদিত হবে । গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার উৎকর্ষের মান নির্বাচিত প্রার্থীদের গুণগত যোগ্যতার ওপর নির্ভরশীল । সুতরাং , গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার সাফল্যের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করা জনগণের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বিশেষ । ন্যায্যভাবে ও বিচার - বিবেচনার সঙ্গে ভোটাধিকার ব্যবহারের ওপর গণতন্ত্রের সাফল্য নির্ভর করে ।
4. ভারতে নির্বাচনী আচরণ
( Code of conducts ) সম্পর্কিত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলি কি কি
?
উত্তর । ভারতে নির্বাচনী আচরণ সম্পর্কিত আলোচনায় উল্লেখযোগ্য উপাদানগুলি হল— জাতি , ধর্ম , ভাষা , সম্প্রদায় , রাজনৈতিক মতাদর্শ , অর্থ , রাষ্ট্রনেতার ভাবমূর্তি প্রভৃতি ।
5. নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের কার্যকাল ( Terms ) সম্পর্কে লেখ ।
উত্তর । নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের এবং আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনারদের চাকরীর শর্তাদি ও কার্যকাল রাষ্ট্রপতি স্থির করেন । রাষ্ট্রপতি পার্লামেন্ট প্রণীত আইনানুসারে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করেন । ৬ বছরের জন্য মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগ করা হয় । প্রকৃত প্রস্তাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের চাকরীর শর্ত , কার্যকাল প্রভৃতি পার্লামেন্ট কর্তৃক প্রণীত আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হয় ।
6. নির্বাচকমণ্ডলী ( Electorate ) বলতে কি বোঝায় ? গণতন্ত্রের প্রধান স্তম্ভ ( Foundation of
democracy ) কি ?
উত্তর । উইলোবি ( Willoughby ) - র মতে , প্রতিনিধিমূলক শাসনব্যবস্থার মূল ভিত্তি হল নির্বাচকমণ্ডলী । গণতন্ত্রের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ হল নির্বাচন ব্যবস্থা ।
7. নির্বাচনে অসাধু আচরণ
( Dishonest behaviours ) বলতে কি বোঝায়
?
উত্তর । নির্বাচনে অসাধু আচরণ বলতে বোঝায় নির্বাচনের দিন নির্বাচকদের জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা করা , উৎকোচ প্রদান , নির্বাচন কেন্দ্র থেকে ভোটপত্র অপসারণ ইত্যাদি ।
৪. ভারতে সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ( Universal adul franchise ) ভোটাধিকারের কয়েকটি ত্রুটির ( defects ) উল্লেখ কর ।
উত্তর । ভারতে সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্কের ভোটাধিকারের কয়েকটি ত্রুটি হল : রাজনৈতিক বিবেচনাবোধের অভাব , ভোটদানের কম হার , বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি , ভাবাবেগের প্রাধান্য , অশিক্ষিত ভোটদাত শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাব , রাজনৈতিক দলগুলির মিথ্যাচা ইত্যাদি ।
9. নির্বাচনী আচরণবিধি ( Code of conduct ) প্রণয়নে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাটি উল্লেখ কর ।
উত্তর । নির্বাচনের প্রাক্কালে নির্বাচন কমিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হল নির্বাচনবিধি জারী করা । দেশের নির্বাচনকে যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে ভারতের নির্বাচন কমিশন এই নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন করে থাকে । রাজনৈতিক দলগুলি যাতে নির্বাচনের প্রাক্কালে হিংসার সাহায্য গ্রহণ না করে , সরকারী দল যাতে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচনকে প্রভাবিত না করতে পারে তার জন্য নির্বাচনবিধি জারী করা হয় ।
10. তুমি কি মনে কর গণতন্ত্রের সাফল্যের জন্য ভোটাধিকার অপরিহার্য ( Essential ) ?
উত্তর । ভোটাধিকার সকল প্রকার রাজনৈতিক অধিকারের মূল উৎস হিসাবে পরিগণিত হয় । ফরাসি দার্শনিক রুশোকে অনুসরণ করে বলা যায় যে , গণতন্ত্রে জনমত বা সাধারণের ইচ্ছাই ( General vill ) হল সার্বভৌম শক্তির আধার । অর্থাৎ , রাষ্ট্রের জনগণই ভারতের নির্বাচ সার্বভৌম শক্তির অধিকারী । জনগণের এই শক্তি ভোটদানের মাধ্যমেই প্রকাশিত হয় । সুতরাং , গণতন্ত্রে ভোটাধিকারের গুরুত্ব ও তাৎপর্য সম্বন্ধে সন্দেহের অবকাশ নেই ।
11. কি কারণের জন্য একজন ব্যক্তিকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত
( Deprived ) করা যায়
?
উত্তর । কতকগুলি কারণে ব্যক্তিকে ভোটাধিকার দেওয়া হয় না । এই সমস্ত কারণগুলি হল : ভারতে বসবাস না করা , উপযুক্ত আদালত কর্তৃক মানসিকভাবে অসুস্থ বলে ঘোষিত , আদালত কর্তৃক ভারতীয় দণ্ডবিধির বিশেষ ধারা অনুসারে অপরাধী বলে সাব্যস্ত ; নির্বাচন সম্পর্কিত বে - আইনী কাজ বা অসাধু আচরণ প্রভৃতি ।
12. নির্বাচন প্রার্থীদের অযোগ্যতা ( Disqualifications )
সম্পর্কে ভারতীয় নির্বাচনী ব্যবস্থায় কি বলা হয়েছে ?
উত্তর । ১৯৫১ খ্রিস্টাব্দের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে আইনসভার সদস্যপদ প্রার্থীদের অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা হয়েছে । কতকগুলি কারণের জন্য ব্যক্তি আইনসভার সদস্যপদ লাভের অযোগ্য বলে গণ্য হবেন । এই কারণগুলি হল : নির্বাচন সম্পর্কিত অপরাধ বা দুর্নীতিমূলক কাজকর্মের জন্য আদালত কর্তৃক নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক অপরাধী সাব্যস্ত হওয়া , বা নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব পেশ না করা , দুর্নীতি বা আনুগত্যহীনতার জন্য সরকারী চাকরী থেকে বরখাস্ত হওয়া অথবা সরকারের আর্থিক স্বার্থসংযুক্ত পরিচালক ম্যানেজিং এজেন্ট বা অন্য কোনো লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত থাকা ইত্যাদি ।
13. ভারতে নির্বাচন কমিশনের কাজগুলি ( Functions ) কি কি ?
নির্বাচন কমিশনের কাজগুলি হল : ( ১ ) সংবিধান ও দেশের সাধারণ আইন অনুসারে নির্বাচন কমিশন পার্লামেন্ট , রাজ্যবিধানসভা এবং রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ তদারকি ও পরিচালনা করে । ( ২ ) নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সম্পর্কিত যে কোনো বিরোধ নিয়ে তদন্ত করার জন্য তদন্ত কমিশন গঠন করতে পারে । ( ৩ ) নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী প্রতীক প্রদান করে ।
14. ভারতে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনের ( Regional Election Commission
) উপর একটি টীকা লেখ । উত্তর । প্রত্যেক সাধারণ নির্বাচন ও উপনির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করার জন্য রাষ্ট্রপতি কতকগুলি আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনার নিযুক্ত করতে পারেন । আঞ্চলিক কমিশনারগণ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করেন । আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশনারগণ সাধারণত রাজ্য বিধানসভা ও রাজ্য বিধানপরিষদের নির্বাচন এবং রাজ্য থেকে লোকসভার সদস্য নির্বাচনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে সাহায্য করে থাকেন ।
15. নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ মীমাংসার ( To solve the
election dispute ) জন্য ভারতীয় সংবিধানে কি ব্যবস্থা গৃহীত
উত্তর > ভারতে বর্তমান সাংবিধানিক আইন অনুসারে নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির দায়িত্ব আদালতের হাতে অর্পণ কর হয়েছে । উল্লেখ্য যে , ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৩৯ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি , উপরাষ্ট্রপতি
, প্রধানমন্ত্রী এবং লোকসভার স্পীকার এই সমস্ত পদাধিকারীদের নির্বাচন সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা আদালতের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে পার্লামেন্টের উপর অর্পণ করা হয় । কিন্তু বর্তমান সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ( ৪৪ তম ) তা পুনরায় আদালতের উপর অর্পণ করা হয় ।
16. নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী প্রতীক প্রদান ( Symbol distribution
) সম্পর্কিত কাজটি লেখ ।
উত্তর । নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী প্রতীক প্রদান করে । অনেক সময় কোনো রাজনৈতিক দলে ভাঙ্গন দেখা দেয় । তখন সেই দলের নির্বাচনী প্রতীকের দাবী নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয় । এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই হল চূড়ান্ত । উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে , কংগ্রেস দল একসময় কংগ্রেস ( ই ) ও কংগ্রেস ( স ) দলে বিভক্ত হয়ে পড়ে । নির্বাচন কমিশন কংগ্রেস ( ই ) -কেই মূল কংগ্রেস দল হিসাবে স্বীকৃতি জানায় ।
17. ভারতে বহু নির্বাচন কমিশনার
' ( Multimember election commissionerism ) সম্পর্কিত বিতর্কটির
( con troversy ) উপর একটি টীকা লেখ ।
উত্তর । ভারতীয় সংবিধানে কতজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠিত হবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি । রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুসারে প্রয়োজন মতো মুখ্য কমিশনার হিসাবে তৎকালীন কমিশনার টি . এন . শেষন তাঁর কার্যকালে এক বিতর্কের সূচনা করেন এবং তিনি একক নির্বাচন কমিশনের প্রধান হিসাবে কতকগুলি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন । ফলে ১৯৯৩ খ্রিস্টাব্দের ১ লা অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ক্যাবিনেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে এক অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে বহু নির্বাচন কমিশনারের সূচনা করেন ।
18. নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের কিভাবে পদচ্যুত
( Sus pended ) করা যায়
?
উত্তর । রাষ্ট্রপতি বা শাসকদল ইচ্ছামতো নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের পদচ্যুত করতে পারেন না । এ ব্যাপারে সরকারী দলের স্বৈরাচার রোধ করার ব্যবস্থা সংবিধানে আছে । সংক্ষেপে বলা যায় যে , সুপ্রীমকোর্টের বিচারপতিদের যে পদ্ধতিতে অপসারণ করা যায় , মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে অপসারণ করতে হলে সেই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হয় । সুতরাং , নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের পদচ্যুত করার ক্ষমতা পার্লামেন্ট ও রাষ্ট্রপতির হাতে যৌথভাবে ন্যস্ত করা হয়েছে ।
19. নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে
( Neutral ) গড়ে তুলতে ভারতীয় সংবিধানে কি ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে
?
উত্তর । অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র সফল হতে পারে না । একটি নিরপেক্ষ ও স্বাধীন সংস্থা ছাড়া নির্বাচন ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হওয়া সম্ভব নয় । তাই অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত ভারতেও নির্বাচন সম্পর্কিত দায়দায়িত্ব আইনবিভাগ বা শাসনবিভাগের উপর ন্যস্ত করা হয়নি । সংবিধানের ৩২৪ নং ধারা অনুসারে নির্বাচন সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম তত্ত্বাবধান ও পরিচালনার দায়িত্ব ও ক্ষমতা ন্যস্ত করা হয়েছে একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের ওপর ।
20. ভারতে সমপ্রতিনিধিত্বের ( Equal
representation ) নীতিটি কিভাবে গৃহীত হয়েছে ?
উত্তর । ভারতে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সমসংখ্যক প্রতিনিধি নির্বাচিত হন । লোকসভা এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমানুপাতের নীতি অনুসরণ করা হয় । প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা থেকে সমান সংখ্যক প্রতিনিধি নির্বাচিত
হন । বিধানসভার সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যতজন নাগরিক পিছু একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হন সেই সংখ্যাগত অনুপাত সমগ্র দেশে একই । লোকসভার সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এই সমানুপাতের নীতি মেনে চলা হয় । সমানুপাতের নীতির ভিত্তিতে নির্বাচনী এলাকাগুলি নির্দিষ্ট করা হয় ।
21. মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ওপর সরকার কিভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে ?
উত্তর । মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের চাকরীর শর্তাদি রাষ্ট্রপতি ধার্য করেন । বর্তমানে তিনি দুবছরের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হন । তাঁর কার্যকাল বৃদ্ধি করা হবে কিনা তা রাষ্ট্রপতির সন্তুষ্টির ওপর নির্ভরশীল । কিন্তু অনেক সময়ই রাষ্ট্রপতির এই সন্তুষ্টি নির্ভর করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার সন্তুষ্টির ওপর । সেই কারণেই মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের ওপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভা প্রভাব বিস্তার করতে পারে এবং এর ফলে নির্বাচন কমিশনের সুনাম নষ্ট হয় । অনেকে মনে করেন যে , এম . এল . শাকধরের কার্যকাল বৃদ্ধি করা হয়নি কারণ তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার প্রতি যথেষ্ট আনুগত্য দেখান নি বলে ।
0 Comments