The blood circulatory system of human
(মানব রক্ত সঞ্চালন )
To day our topic is The blood circulatory system of human ( মানব রক্ত সঞ্চালন )full details in Bengali ,in this topic we tried to full fill all details .This will help all aspirants in exam like wbcs,upse,ssc .if you need this in pdf please comment below or join our telegram channel.thank you ,If you have suggestion please comment below.if you want notes in any other topic you may comment below
To day our topic is The blood circulatory system of human ( মানব রক্ত সঞ্চালন )full details in Bengali ,in this topic we tried to full fill all details .This will help all aspirants in exam like wbcs,upse,ssc .if you need this in pdf please comment below or join our telegram channel.thank you ,If you have suggestion please comment below.if you want notes in any other topic you may comment below
মানব রক্ত সঞ্চালন আবিষ্কার করেন উইলিয়াম হার্ভে । যে মাধ্যমে পুষ্টিগত উপাদান শরীরের বিভিন্ন অংশে পৌছায় এবং বর্জ্য পদার্থগুলি | দেহ থেকে নির্গমন ঘটে তা সঞ্চালন তন্ত্র নামে পরিচিত । বিভিন্ন প্রাণীদেহে দুই ধরনের সঞ্চালন লক্ষ করা যায় । যথা :
( i ) মুক্ত সঞ্চালন তন্ত্র ( ii ) বদ্ধ সঞ্চালন তন্ত্র ।
( i ) মুক্ত সঞ্চালন তন্ত্র : এই সঞ্চালন তন্ত্রে রক্ত অ্যাওরটাতে হৃদপিন্ডের দ্বারা ধমনীতে স্পন্দিত হয় এবং হিমােসিল নামক ফঁকা স্থানে মুক্ত হয় । উদাহরণ : - বেশিরভাগ সন্ধিপদী প্রাণী ও সেফালােকডে এই সঞ্চালন তন্ত্র লক্ষ করা যায়
( ii ) বদ্ধ সংবহন তন্ত্র : এই ধরনের সঞ্চালন তন্ত্রে রক্ত রক্তবাহকে অবস্থান করে । এই সঞ্চালন তন্ত্রে রক্ত কখনাে দেহকলার সংস্পর্শে সরাসরিভাবে আসে না । একমাত্র রক্ত বাহকের প্রাচীরের মাধ্যমেই | রক্তের প্রবেশ ও প্রস্থান ঘটে থাকে । উদাহরণ : - মানুষ সহ সমস্ত মেরুদন্ডী প্রাণীর দেহে এই সঞ্চালন তন্ত্র লক্ষ করা যায় ।
রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র : মানব রক্ত সঞ্চালন তন্ত্র রক্ত , রক্তবাহক এবং হৃদপিন্ড দ্বারা গঠিত ।
* রক্ত : রক্ত হল এক প্রকারের তরল যােগ কলা একজন পূর্ণবয়স্ক | মানুষের শরীরে ৫.৫ লিটার রক্ত থাকে রক্তের pH 9.8 এবং রক্তে হিমােগ্লোবিন নামক রঞ্জক থাকার জন্য রক্ত লাল রঙের হয় । রক্ত প্লাজমা এবং রক্তকণিকা দ্বারা গঠিত ।
প্লাজমা : রক্তে ৫৫ % প্লাজমা থাকে ।প্লাজমা খড়বর্ণীয় , স্নিগ্ধ , সামান্য ক্ষারীয় জলীয় দ্রবণ । প্লাজমা প্রচুর জৈব ও অজৈব পদার্থের সংমিশ্রণে গঠিত যার মধ্যে ৯০-৯২ % জল এবং ৬-৮ % দ্রাবক থাকে । প্লাজমায় Na ' , Mg ' , Ca , HCo , প্রভৃতি আয়ন থাকে । রক্ত জমাট বাঁধার উপাদান বিহীন প্লাজমাকে সিরাম বলা হয় ।
প্লাজমায় ফাইবিনােজন , গ্লোবিউলিন এবং আলবুমিন প্রভৃতি প্রোটিনের সন্ধান মেলে প্লাজমায় প্রােটিনের অভাবে
পা , হাত ফুলে যায় । প্লাজমা অ্যান্টিকোয়াগুলেন্ট হিসাবে অ্যান্টি প্রােথমবিন বা হেপারিন দেখতে পাওয়া যায় , যার কারণে রক্ত রক্তবাহকে জমাট বাঁধে না ।
কাজ : ( i ) শরীরে অনাক্রমতা সরবরাহ করে ।
( ii ) রক্তের pH নিয়ন্ত্রণ করে ,
( ii ) রক্তের নষ্ট হওয়া প্রতিরােধ করে ,
( iv ) শরীরের সমগ্র অংশে সমপরিমাণ তাপ সরবরাহ করে ,
( v ) প্লাজমায় থাকা ফাইবিনােজেন রক্ত জমাট বাঁধতে , গ্লোবিউলিন প্রতিরােধ ব্যবস্থা । গড়ে তুলতে এবং অ্যালবুমিন অবিস্রবণ সাম্যতা নিয়ন্ত্রণ করে । |
* রক্তকণিকা : রক্তে ৪৫ % রক্তকণিকা থাকে । রক্তে তিন ধরনের রক্তকণিকা লক্ষ করা যায় , যথা-
( i ) লােহিত রক্তকণিকা ,
( ii ) শ্বেত রক্তকণিকা এবং
( iii ) অণুচক্রিকা । |
( i ) লােহিত রক্তকণিকা : লােহিত রক্তকণিকা অ্যারিথ্রোসাইট নামে পরিচিত । পূর্ণাঙ্গ মানব শরীরে ৪.৫-৫ মিলিয়ন ঘন মিলিমিটার লােহিত রক্তকণিকা থাকে । ইহা গােলাকার এবং দ্বিঅবতল আকৃতি বিশিষ্ট হয় । ইহা ব্যাসে ৭.৮ মাইক্রো মিলিমিটার এবং ১-২ মিলিমিটার চওড়া হয় । লােহিত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াস বিহীন হয় । লােহিত রক্তকণিকায় হিমােগ্লোবিন থাকার জন্য রক্ত লাল হয় । ১০০ মিলিলিটার রক্তে ১৪.৫ গ্রাম হিমােগ্লোবিন থাকে । হিমােগ্লোবিন লােহাযুক্ত একটি রঞ্জক পদার্থ । লােহিত রক্তকণিকা রক্তে অক্সিজেন সরবরাহে সহায়তা করে । লােহিত রক্তকণিকার আয়ু ১২০ দিন । লােহিত রক্তকণিকা তৈরির পদ্ধতি এরিথ্রোসাইট নামে পরিচিত যা জ্বণের ক্ষেত্রে প্লীহা এবং যকৃতে প্রস্তুত হয় এবং জন্মের ভার অস্থিমজ্জায় প্রস্তুত হয় । লােহিত রক্তকণিকা যকৃতে এবং প্লীহায় ভেঙে যায় । প্লীহা লােহিত রক্তকণিকার সমাধিস্থল হিসাবে পরিচিত । লােহিত রক্তকণিকার যকৃতে ভেঙে যাওয়ার সময় হলুদ রঙের রঞ্জক পদার্থ বিলুরুবিন উৎপন্ন হয় । রক্তে বিলুরুবিনের উপস্থিতি জন্ডিসের প্রমাণ বহণ করে । লােহিত রক্তকণিকার অভাবজনিত লক্ষণ অ্যানিমিয়া এবং অধিক উপস্থিতি পলিসাইফিমিয়া সৃষ্টি করে ।
( ii ) শ্বেত রক্তকণিকা : শ্বেত রক্তকণিকা লিউকোসাইট নামে পরিচিত । পূর্ণাঙ্গ মানবশরীরে ৬০০০-৮০০০ ঘন মিলিমিটার শ্বেত রক্তকণিকা থাকে । এটি বৃত্তাকার বা অনিয়ন্ত্রিত হয় । শ্বেত রক্তকণিকার ব্যাস ১২-২০ মাইক্রোমিটার হয় । এটি বর্ণহীন হয় । লােহিত রক্তকণিকার তুলনায় ইহার সংখ্যা কম হয় । শ্বেত রক্তকণিকা তৈরির পদ্ধতি লিউকোসাইট নামে পরিচিত । ইহা অস্থিমজ্জা , লসিকা এবং প্লীহায় । তৈরি হয় । ইহার আয়ু ৩-৪ দিন । ইহা মূলত দুই ধরনের গ্রানুলােসাইট এবং আগ্রানুলােসাইট
গ্রানুলােসাইট- এই ধরনের শ্বেত রক্তকণিকার সাইটোপ্লাজমে দানাযুক্ত অংশ লক্ষ করা যায় । ইহা তিন প্রকারের যথা– ( a ) ইউসিনােফিল , ( b ) বেসােফিল এবং ( c ) নিউট্রোফিল ।
( a ) ইউসিনােফিল- ইহা প্রিলােক বিশিষ্ট হয় । ইহা ফ্যাগােসাইটিক T বিহীন হয় । মালঞ্জি এবং সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়ার ক্ষেত্রে | গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । শ্বেত রক্তকণিকায় ইহার পরিমাণ ২-৩ % । |
( b ) বেসসাফিল— ইহা ত্রিলােব বিশিষ্ট হয় । ইহা ফ্যাগােসাইটিক বিহীন হয় । ইহা হেপারিন প্রস্তুত করে যা রক্তবাহে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না । শ্বেত রক্তকণিকায় ইহার পরিমাণ ১ % । |
• রক্তের শ্রেণিবিভাগ— যদিও সব মানুষের রক্তের উপাদান এবং রং একই হলেও বিভিন্ন মানুষের রক্ত বিভিন্ন শ্রেণির হয় । একে ABO শ্রেণিবিভাগ বলা হয় । মানবদেহে চার রকমের শ্রেণির রক্ত দেখা যায় । যথা— A , B , AB এবং O এর মধ্যে ১৯০০ সালে । A , B এবং O শ্রেণির রক্ত আবিষ্কার করেন কার্ল ল্যান্ডস্টেনার । এবং ১৯০২ সালে AB শ্রেণির রক্ত আবিষ্কার করেন ডিক্যাস্টেলাে এবং স্টুরেল । কার্ল ল্যান্ডসেন্টারকে রক্ত শ্রেণিবিভাগের জনক বলা হয় ।
অ্যান্টিজেন- ইহা এক ধরনের প্রােটিন যা লােহিত রক্ত কণিকার উপরিতলে দেখতে পাওয়া যায় । A এবং B হল অ্যান্টিজেন ।
* অ্যান্টিবডি — ইহা লসিকা গ্রন্থিতে উৎপন্ন হয় এবং রক্তের প্লাজমায় । উপস্থিত থাকে । A এবং B হল অ্যান্টিবডি ।
AB শ্রেণির সার্বজনীন গ্রহীতা এবং 0 শ্রেণির রক্ত সার্বজনীন দাতা হিসাবে পরিচিত ।
Rh ফ্যাক্টর:- রক্তের শ্রেণির ছাড়াও রক্ত Rh ফ্যাক্টরের উপর নির্ভরশীল । ইহাও এক ধরনের অ্যান্টিজেন যা লােহিত রক্তকণিকার | উপরিতলে দেখতে পাওয়া যায় । যে মানুষের দেহে Rh | অ্যান্টিজেনের উপস্থিতি লক্ষ করা যায় তিনি Rh ' এবং যে মানুষের দেহে Rh অ্যান্টিজেন অনুপস্থিত তিনি Rh হন ।১৯৪০ সালে কার্ল ল্যান্ডস্টেনার এবং এ এস ভিনার Rh ফ্যাক্টর আবিষ্কার করেন Rh বাঁদর থেকে । Rh ' যুক্ত মানুষ Rh যুক্ত মানুষ থেকে রক্ত গ্রহণ করতে পারে না অর্থাৎ , এক্ষেত্রে সার্বজনীন দাতা এবং AB সার্বজনীন গ্রহীতা । ১৮২৫ সালে প্রথমবার রক্তদান পদ্ধতি আবিষ্কার করেন জেমস ব্রান্ডেল । |
( c ) নিউট্রোফিল– বহুলােবযুক্ত এবং ফ্যাগােসাইটিক যুক্ত শ্বেত | রক্তকণিকায় এটি সর্বোচ্চ পরিমাণে পাওয়া যায় প্রায় ৬০-৬৫ % , | দেহে প্রতিরােধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । | আগ্রানুলােসাইট- এই ধরনের শ্বেত রক্ত কণিকার সাইটোপ্লাজমে । দানাযুক্ত অংশ থাকে না । ইহা দুই প্রকারের যথা- ( i ) লিম্ফোসাইট | এবং ( ii ) মনােসাইট । |
( i ) লিম্ফোসাইট- এটি বৃহৎ এবং গােলাকার হয় । ফ্যাগােসাইটিক বিহীন হয় । ইহা অ্যান্টিবডি সৃষ্টিতে এবং রক্ত পরিবহণে সহায়তা করে । শ্বেত রক্তকণিকায় ইহার পরিমাণ ২০-২৫ % ।
( i ) মনােসাইট- শিম আকৃতি বিশিষ্ট এবং ফ্যাগােসাইটিক যুক্ত । এটি বাকি শ্বেত রক্ত কণিকার থেকে বৃহত্তম । শ্বেত রক্ত কণিকায় ইহার । পরিমাণ ২-১০ % , প্রতিরক্ষায় সহায়তা করে । রক্তে লােহিত রক্ত কণিকা ও শ্বেত রক্ত কণিকার অনুপাত ৫০০ঃ১
( ii ) অনুচক্রিকা :- অনুচক্রিকা থ্রম্বােসাইট নামে পরিচিত । পূর্ণাঙ্গ মানব শরীরে ১,৫০,০০০-৩,৫০,০০০ ঘন মিলিমিটার অনুচক্রিকা থাকে । গােলাকার এবং ডিম্বাকার আকৃতি বিশিষ্ট হয় । ২-৩ মিলিমিটার ব্যাস বিশিষ্ট হয় এবং বর্ণহীন হয় । অনুচক্রিকার আয়ু ৮-১০ দিন । অনুচক্রিকার তৈরি পদ্ধতি থম্বােপয়েসিস নামে পরিচিত এবং অস্থিমজ্জায় বৃহত্তম কোষ মেগাক্যারিওসাইট থেকে সৃষ্টি হয় । অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে ।
রক্ত জমাট বাঁধা- আমাদের শরীরে কোন আঘাত লাগার পর রক্তপাত হলে কিছুক্ষণ পর ক্ষত স্থান থেকে রক্তপাত নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যায় রক্ত জমাট বাঁধার কারণে । অনুচক্রিকা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে । অনুচক্রিকায় থাকা থ্রম্বােপ্লাস্টিন প্রােথ্রম্বােবিনেস উৎসেচক তৈরিতে সহায়তা করে যা প্রােথােমবিনে রূপান্তরিত হয় এবং গ্রুম্বিনে পরিণত হয় । গ্রুম্বিনে প্রােটিলাইটিক উৎসেচক ফাইবিনােজেনকে ফাইবিনে পরিণত করে যা রক্ত জমাট বাঁধতে সহায়তা করে । ফাইবিনােজেন যকৃতে ভিটামিন K- এর মাধ্যমে প্রস্তুত হয় ।
রক্তের কাজঃ- ( i ) দেহের pH , জলের পরিমাণ এবং আয়নগত পরিমাণে সামঞ্জস্য রাখতে সহায়তা করেছে ।
( ii ) ক্ষত নিরাময়ে সহায়তা করে ।
( iii ) দেহের বর্জ্য পদার্থগুলিকে দেহের বিভিন্ন অংশ থেকে নিয়ে বৃক্কে প্রেরণ করে ।
( iv ) দেহের সাধারণ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ।
( v ) অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড সরবরাহে সহায়তা করে ।
( vi ) দেহে জীবাণুর বিরুদ্ধে অনাক্রম্যতা গড়ে তােলে ।
( vii ) অন্তগ্রন্থি থেকে বিভিন্ন হরমােনকে নির্দিষ্ট গ্রন্থিতে সরবরাহ করে ।
লসিকার কাজঃ-
১। পুষ্টি , হরমােন বহণে সহায়তা করে ।
২। তন্তুর কোষ আর্দ্র রাখতে সহায়তা করে ।
৩। স্নেহ পদার্থ শােষণে সহায়তা করে ।
0 Comments