If You face any problem while reading any article please see this in Desktop mode

India's greatest kingdom and their kings Maurya, ancient Indian dynasty ashok in bengali


 

.মৌর্য সাম্রাজ্য 

 চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য : 

*চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ২৫ বছর বয়সে নন্দ সম্রাট ধননন্দকে সিংহাসনচ্যুত করে পাটলিপুত্র দখল করেন ৩২১ খ্রিঃ পূর্বাব্দে । 

*চন্দ্রগুপ্ত মৌয সিংহাসন দখল করার ক্ষেত্রে কৌটিল্য বা চাণক্য সাহায্য করে ।

 ৩০৫ খ্রিঃ পূঃ আলেকজান্ডারের সেনাপতি সেলুকাস নিকাটোর এর সঙ্গে যুদ্ধ হয় । 

> সুদর্শন হ্রদ নির্মাণ করেন । ( গুজরাট ) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যকে গ্রীকরা বলত স্যান্ডাকোট্রাস বা মুক্তিদাতা । 

 বিন্দুসার :

 > বিন্দুসারের উপাধি ছিল অমিত্রঘাত বা শত্ৰুনিধনকারী ।

 > বিন্দুসার আজীবিক ধর্মের প্রতি খুব অনুরাগী ছিলেন ।

 > অশোক

 অশোক ২৭৩ খ্রিঃ পূঃ মগধের সিংহাসনে আরোহণ করেন । 

রাজ্যাভিষেকের আট বছর পর অর্থাৎ ২৬১ খ্রিঃ পূঃ তিনি কলিঙ্গ ( উড়িষ্যা ও অন্ধ্রপ্রদেশের অংশ বিশেষ ) জয় করেন XIII শিলা লিপিতে বর্ণিত আছে অশোকের উপাধি বা অপর নাম প্রিয়দর্শী ১৯১৫ খ্রিঃ অশোকের মাস্কি শিলালিপি থেকে প্রিয়দর্শী নামটি পাওয়া যায় । 

বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ দীপবংশ ও মহাবংশ থেকে জানা যায় অশোক তার নিরানব্বই জন ভাইকে হত্যা করেন । 

কলিঙ্গ যুদ্ধের পরে অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন । 

বৌদ্ধধর্মের প্রচারে উদ্দেশ্যে পুত্র মহেন্দ্র ও কন্যা সংঘমিত্রাকে সিংহলে পাঠান ।

 কলহনের রাজতরঙ্গিনী গ্রন্থ থেকে জানা যায় কাশ্মীর মৌর্য সম্রাজ্যের অংশ ছিল এবং অশোক শ্রীনগর শহর প্রতিষ্ঠা করেন । 

অশোকের শিলালেখ সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ : অশোকের শিলালিপিগুলি অধিকাংশই ব্রাহ্মীলিপিতে প্রাকৃত ভাষায় খরোষ্ঠীতে লেখা ।

 অশোক ১৪ টি প্রধান প্রস্তর লিপি খোদাই করেন । 

 ১৮৩৭ খ্রিঃ জেমস প্রিন্সেপ অশোকের শিলালিপি পাঠোদ্ধার করেন । 

> মৌর্য বংশের শেষ রাজা ছিলেন বৃহদ্রথ । 

মেগাস্থিনিস ছিলেন এক গ্রীকদূত , যিনি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের রাজ সভায় আসেন । 

ইন্ডিকা নামক গ্রন্থ মেগাস্থিনিসের লেখা । 

কৌটিল্য অর্থশাস্ত্র রচনা করেন । 

কৌটিল্যের আসল নাম চাণক্য বা বিষ্ণুগুপ্ত ।



কুষাণ বংশ 

কুষাণদের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রথম কদফিসেস বা কুজুল কদফিস । 

> কণিস্ক :

 > কণিস্ক কুষাণ বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা ।
 > ১৯১১ খ্রিঃ মথুরা থেকে কণিস্কের মূর্তি পাওয়া গেছে ।
 → ৭৮ খ্রিঃ সিংহাসনে বসেন এবং শকাব্দ প্রচলন করেন । 
> কণিস্ক পাটলিপুত্র জয় করে বিখ্যাত বৌদ্ধ পন্ডিত অশ্বঘোষকে সঙ্গ করে তাঁর রাজধানী পুরুষপুর বা পেশোয়ারে নিয়ে যান 
> পার্শ্বের পরামর্শে সভাকবি নাগসেনের উদ্যোগে কণিস্ক কাশ্মীরে কুন্দলবন বিহারে চতুর্থ বৌদ্ধ সঙ্গীতি আহ্বান করেন ।

 চোল বংশ

 > চোলদের প্রথম ঐতিহাসিক রাজা কারিকল
 > রাজধানী হয় কাবেরীপত্তম ।
> প্রথম রাজরাজের পুত্র রাজেন্দ্র চোলদের চোল বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ শাসক ছিলেন  

গুপ্ত বংশ 

> শ্রীগুপ্ত : ( ২৭৫ -৩০০ খ্রিঃ ) - প্রতিষ্ঠাতা
 > ঘটোৎকচ গুপ্ত ( ৩০০-৩২০ খ্রিঃ )

 > প্রথম চন্দ্রগুপ্ত : ( ৩২০-৩৩৫ খ্রিঃ ) 

→ গুপ্তবংশের প্রথম স্বাধীন সার্বভৌম রাজা ছিলেন ।
 > তিনি গুপ্তাব্দের প্রচলন করেন ।

 > সমুদ্রগুপ্ত : ( ৩৩৫-৩৮০ খ্রিঃ ) 

> সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি ছিলেন হরিষেণ ।
 এলাহাবাদ প্রশস্তি রচয়িতা ) 
> কাব্যচর্চার জন্য তিনি কবিরাজ উপাধি পেয়েছিলেন কৃ চরিতম গ্রন্থের জন্য ।
 > সাম্রাজ্য স্থাপনের ভিনসেন্ট স্মিথ থাকে ভারতের নেপোলিয়ান আক্ষ্যা দেন ।
 > সমুদ্রগুপ্তের মন্ত্রীর ছিলেন বসুবন্ধু 

। > দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত : ( ৩৮০-৪১৫ খ্রিঃ )

 > বিশাখদত্তের দেবীচন্দ্রগুপ্তম নাটক থেকে জানা যায় রামগুপ্তকে হত্যা করে সিংহাসনে বসেন ।
 > দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত বিক্রমাদিত্য ও পরম ভগবত উপাধি নেন ।

. মৌর্য পরবর্তী ভারত 


>শুঙ্গ বংশ

 > মৌর্য সম্রাট বৃহদ্রথকে হত্যা করে পুযামিত্র শুঙ্গ মগধের সিংহাসনে বসেন ।
 > পুষামিত্রের পর সিংহাসনে বসেন অগ্নিমিত্র শুঙ্গ ।
 > কালিদাসের লেখা মালবিকাগ্নিমিত্রম তাকে নিয়ে রচিত ।
 > শুরু বংশের শেষ রাজা ছিলেন দেবভূতি । 

> সাতবাহন বংশ

 > সাতবাহন রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সিমুক বা শ্রীমুখ ।
 > সাতবাহনদের রাজধানী পৈঠান বা প্রত্যষ্ঠান ।
 > মারবেলের হাতিগুম্ফা শিলালিপিতে প্রথম সাতকর্ণীর উল্লেখ পাই । 
★ সাতবাহন বংশের শ্রেষ্ঠ রাজা গৌতমিপুত্র সাতকর্ণী ।
 > শূদ্রকের মৃচ্ছকটিকম সাতবাহন যুগে রচিত । 

> চেত বংশ বা চেদি বংশ / কলিঙ্গ রাজবংশ :
 > চেদি বংশের তৃতীয় রাজা ছিলেন খারবেল । 

আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ 

 পিতা ফিলিপের মৃত্যুর পর আলেকজান্ডার ৩৩৪ খ্রিঃপূঃ সিংহাসনে বসেন । 
★ ৩২৭ খ্রিঃ পূঃ আলেকজান্ডার ভারতবর্ষ আক্রমণ করেন । 
- আলেকজান্ডারের মায়ের নাম ছিল অলিম্পিয়া ।
 → পুরু ও আলেকজান্ডারের মধ্যে হিদাসপিদের যুদ্ধ বা ঝিলামের যুদ্ধ হয় ।
 ৩২৬ খ্রিঃ পূঃ 

ভারতে বিদেশী রাজবংশ 

ইন্দ্ৰোগ্রিক আক্রমণ ও সাম্রাজ্য স্থাপন :
 > ভারতে ইন্দোগ্রিক রাজাদের মধ্যে মিনান্দার ছিলেন বিশেষ উল্লেখযোগ্য ।
 > তার রাজধানী ছিল শিয়ালকোট বা শাকল ।
 > মিনাদার বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেন ।
 > মিলিন্দপঞ্চহো গ্রন্থটি আসলে মিনাদার ও নাগসেনের পরস্পর প্রশ্নোত্তরের সংকলন গ্রন্থ ।
 > জুনাগড় শিলালিপি থেকে রুদ্রদামনের কীর্তি জানা যায় । 
> জুনাগড় শিলালিপি খোদাই করেন রুদ্রদামন প্রথম সংস্কৃত ভাষায় । 
★ রুদ্রদামন সুদর্শন হ্রদের সংস্কার করে ছিলেন । 


পল্লব বংশ

 > পল্লবদের প্রথম শাসক ছিলেন সিংহবর্মন । 
> তার রাজধানী ছিল কাঞ্চীপুর ।
 > পল্লব বংশের প্রথম গুরুত্বপুর্ন রাজা হলেন সিংহবিষ

 > প্রথম নরসিংহ বর্মন :

 > পল্লব বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা হলেন প্রথম নরসিংহমবর্মন ।
 > মহাবলীপুরমের মন্দিরগুলি তৈরি হয় নরসিংহ বর্মনের আমলে ।
 4 > মহাবলীপুরমের রথমন্দিরগুলিকে সপ্তপ্যাগোডা বলা হয় ।

 > দ্বিতীয় নরসিংহ বৰ্মন 

: > কাঞ্চির কৈলাস মন্দির নির্মাণ করেন । 
> মৌকরি বংশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হরিবর্মন । 
> অপরাজিত বর্মন পল্লব বংশের শেষ রাজা ।

 গৌড় / শশাঙ্ক 

: > রাজধানী : মুর্শিদাবাদ জেলার কর্ণসুবর্ণ নগরের উপকন্ঠে রক্তমৃত্তিকা বিহারে
 > বাঙালী রাজাগণের মধ্যে শশাঙ্কই প্রথম সার্বভৌম নরপতি । 
> ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শশাঙ্কের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র মানবদের প্রায় ছয়মাস রাজত্ব করার পর একশ বছর বাংলাদেশে অরাজকতা চলেছিল যা মাৎস্যন্যায় নামে পরিচিত ।

 বাংলার পাল বংশ

 > গোপাল

 : > ৭৫০ খ্রিঃ বাংলার সামন্তরা গোপালকে বাংলার রাজা হিসাবে নির্বাচন করেন । ( খালিমপুর তাম্রপটে উল্লেখিত )
 > গোপালের রাজধানী ছিল মগধ ।
 > গোপাল ওদন্তপুরী বিহার নির্মাণ করেন ।

 > ধর্মপাল 

: > গোপালের মৃত্যুর পর ৭৭০ খ্রিঃ তার পুত্র ধর্মপাল সিংহাসনে বসেন । 
> তিনি ভাগলপুরের কাছে বিক্রমশীলা মহাবিহার এবং সোমপুরী বিহার নির্মাণ করেন ।
 → ধর্মপালের সময়কালে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় নবজীবন লাভ করেন ।

> রামপাল : 

> রামপালের সভাকবি ছিলের সন্ধ্যাকর নন্দী ( রামচরিত ) ।
 > পাল যুগের শ্রেষ্ঠ পন্ডিত অতীশ দীপঙ্কর । শ্রেষ্ঠ চিকিৎসক চক্রপানি দত্ত ।

 সেন বংশ

 বিশ্বসেনের পুত্র সামন্তসেন সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা । হেমন্ত সেনের পুত্র বিজয় সেন বাংলার শেষ পাল রাজা মদনপালকে পরাস্ত করে স্বাধীন সেন বংশের পত্তন ঘটান ।

 বিজয় সেন

 : বল্লাল সেন রচিত দুটি গ্রন্থ হল- দানসাগর ও অদ্ভুত সাগর । এছাড়া ব্রতসাগর , প্রতিষ্ঠা সাগর , আচার্জ সাগর রচনা করেন । 5 নবদ্বীপের শাসক বুদ্ধিমত্ত খানের নির্দেশে পন্ডিত আনন্দভট্ট বল্লালচরিত নামে তাঁর জীবনী গ্রন্থ রচনা করেছিলেন । 

লক্ষণ সেন :

 বল্লাল সেনের পুত্র লক্ষণ সেন ৬০ বছর বয়সে সিংহাসনে বসেন ১১৭৯ খ্রিঃ । তার সভাকবি জয়দেব রচিত গ্রন্থ হল গীতগোবিন্দ । 

রাষ্ট্রকূট 

দস্তিদূর্গ : > দন্তিদূর্গ ছিলেন রাষ্ট্রকূট বংশের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা । 
 প্রথম কৃষ্ণ : > প্রথম কৃষ ইলোরার কৈলাশ নাথের মন্দিরটি নির্মাণ করেন ।
  তৃতীয় গোবিন্দ : তিনি ছিলেন রাষ্ট্রকূট বংশের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা ।

'চান্দেল বংশ 

→ এদের রাজধানী ছিল খাজুরাহো ।



Post a Comment

0 Comments

>